1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

দুর্দান্ত জয়ে লা লিগা শিরোপা বার্সেলোনার

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৫ মে, ২০২৩
  • ৭৩ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোট:এসপানিওলকে ৪-২ গোলে হারিয়ে লা লিগার ২৭তম শিরোপা নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা। ম্যাচে জোড়া গোল করেন রবার্ট লেভানডফস্কি। একটি করে গোল করেন আলেসান্দ্রো বালদে এবং ইউলেস কুন্দে।

এই শিরোপা জয়ের পর চোখ সবার কোচ জাভির দিকে।
প্রথমবারের মতো পূর্ণ মৌসুমে ডাগআউটে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়ে বার্সাকে লিগ শিরোপায় পুনরুদ্ধার করে দিলেন এ স্প্যানিশ কিংবদন্তি।

৮ বছর আগে ২০১৫ সালে ট্রেবল জিতে কান্নাভেজা চোখে জাভি যখন বার্সা ছেড়েছিলেন, তখন কি ভেবেছিলেন একদিন বার্সাকে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে শিরোপা জেতাবেন! কে জানে, জাভির মতো কিংবদন্তিরা ভাবলেও ভাবতেও পারেন!

এসপানিওলের মাঠে উদযাপনটা অবশ্য মন ভরে করতে পারেননি জাভিরা। উদযাপনের মাঝেই বেরসিক এসপানিওল সমর্থকেরা মাঠে নেমে আসায় মাঠ ছাড়তে হয় বার্সা খেলোয়াড়দের। তাতে অবশ্য জাভি-লেভারা হয়তো মন খারাপ করবেন না। উদযাপনের জন্য ক্যাম্প ন্যু তো আছেই।

আগের রাতে রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের কারণে আজ রাতে শিরোপা নিশ্চিত করতে বার্সাকে জিততেই হতো। নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে অতীত রেকর্ডও মাঠে নামার আগে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছিল বার্সাকে।

মাঠে নামার আড়ে দুই দলের পয়েন্ট পার্থক্য ছিল ৫১ পয়েন্টের। এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত টানা ২৫ ম্যাচে কাতালান ডার্বিতে জয়হীন (৭ ড্র ও ১৮ হার) ছিল এসপানিওল। আর বার্সা নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে মাঠে নামে এ দিন।

এসপানিওলের মাঠে ম্যাচের ৬ মিনিটেই সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন পেদ্রি। ডি-বক্সের ভেতর আনমার্ক থেকেও গোল করতে ব্যর্থ হন এই স্প্যানিশ তরুণ। তাঁর শট দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। সে যাত্রায় গোল না হলেও এস্পানিওলের গোলমুখ বার্সাকে ১১ মিনিটের বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি।

বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে দারুণভাবে এসপানিওল ডি-বক্সে ঢুকে বাইলাইন থেকে বল বাড়ান রবার্ট লেভানডফস্কির উদ্দেশে। লেগে থাকা মার্কারকে ছিটকে দারুণ ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান লেভা। মৌসুমের নিজের ২০তম গোলে বার্সাকে শিরোপা স্বপ্নে মাতিয়ে তুলেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার।

২০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বার্সার জন্য লিগ শিরোপাও নিশ্চিত করে দেন বালদে। স্বাগতিকদের তাসের ঘরের মতো নড়বড়ে রক্ষণ ভাঙতে অবশ্য খুব একটা বেগ পেতে হয়নি বার্সাকে। পেদ্রির দারুণ এক অ্যাসিস্টে গোল করে দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন বালদে। ২৪ মিনিটে এসপানিওল গোলরক্ষক দারুণভাবে ঠেকিয়ে না দিলে নিজের দ্বিতীয় গোলটি প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন লেভা।

তৃতীয় গোলটি না আসলেও একের পর এক আক্রমণে এসপানিওলের রক্ষণকে রীতিমতো নাচিয়ে ছাড়ে বার্সার আক্রমণভাগ। স্বাগতিক এসপানিওল হুটহাট দুই একবার বার্সা রক্ষণে হানা দিলেও তা গোল আদায়ের জন্য মোটেই যথেষ্ট ছিল না। উল্টো ৪০ মিনিটে বার্সার আক্রমণের চাপে পিষ্ট হয়ে তৃতীয় গোলটিও হজম করে বসে এস্পানিওল।

এবার রাফিনিওর নিঁখুত পাস থেকে দুর্দান্ত স্লাইডে বল জালে জড়ান লেভা। এই গোলের পর কাতালান ডার্বির পরিবর্তে ভাষ্যকারেরা এই ম্যাচের নতুন নামকরণও করেন। এর নাম দেওয়া হয় ‘ডেমোলিশন ডার্বি’, অর্থ্যাৎ ‘গুঁড়িয়ে দেওয়া ডার্বি’। প্রথমার্ধের শেষ দিকে এক গোল শোধ করার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল এস্পানিওল। কিন্তু মৌসুমজুড়ে দুর্দান্ত ডিফেন্স করা বার্সার শেষ দেয়ালটা পেরোতে পারেনি তারা।

বিরতির পরও নিজেদের লক্ষ্য থেকে সরে আসেনি বার্সা। বিপরীতে এসপানিওল যেন আরও ছন্নছাড়া। যার সুযোগ নিয়ে ৫৩ মিনিটে নিজেদের চতুর্থ গোলটি আদায় করে নেয় বার্সা। ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের অ্যাসিস্টে গোল করনে কুন্দে। এরপর বার্সা কিছুটা আয়েশি ফুটবল খেলা শুরু করলে ব্যবধান কমানোর সুযোগ আসে এসপানিওলের সামনে। একাধিক প্রচেষ্টার পর অবশেষে ম্যাচের ৭৩ মিনিটে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে এক গোল শোধ করেন জাভি পাউদো।

শেষ দিকে দুই দলই একরকম অলআউট ফুটবল খেলতে শুরু করে। এতে ম্যাচও জমে উঠে দারুণভাবে। উভয়েই দারুণ সব গোলের সুযোগ পেয়েছিল। শেষ মুহূর্তে এসপানিওল আরও এক গোল শোধ করে। তবে তাতেও বার্সার কোনো ক্ষতি হয়নি। ৪-২ গোলের জয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়ে বার্সা।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..